Header Ads

Header ADS

কভার লেটারের দোষ ত্রুটি।

 কভার লেটার নিয়ে সবারই একটু দুঃশ্চিন্তা। কেন এতো দুঃশ্চিন্তা? একদম ইজি ব্যাপার। শুধু নিজের সাধারন বুদ্ধিমত্তাকে একটু কাজা লাগালেই হবে।
কভার লেটার নিয়ে আলোচনা করার আগে আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রোগ্রামে বক্তৃতা দেয়ার নমুনাটা একটু দেখে নেই।
প্রত্যেকের সময় ১৫ মিনিট করে।
প্রথম ব্যক্তি: অদ্যকার সভায় উপস্থিত আছেন সম্মানিত সভাপতি অমুক, সহ-সভাপতি অমুক, সম্পাদক অমুক, প্রধান অতিথি তমুক, বিশেষ অতিথি অমুক, অমুক সংগঠনের তমুক সেক্রেটারি ব্লা ব্লা ব্লা এবং আমার প্রানপ্রিয় এলাকাবাসী সবাইকে আমার প্রানঢালা অভিনন্দন। (কে কে উপস্থিত আছে সেটা বলতে বলতেই ১০ মিনি শেষ। পিছন থেকে ওয়ার্নিং আসছে তারাতারি শেষ করেন। তাই ভূমিকা, বিবরণ বাদ দিয়ে সরাসরি উপসংহার।) তারপর শেষ করে এই ভাবে।”আমি আর কথা বাড়াতে চাই না, শুধু একটা কথা বলেই আমার বক্তৃতা শেষ করতে চাই, সেটা হলো ............................
দ্বিতীয় ব্যক্তি: অদ্যকার সভায় উপস্থিত আছেন সম্মানিত সভাপতি অমুক, সহ-সভাপতি অমুক, সম্পাদক অমুক, প্রধান অতিথি তমুক, বিশেষ অতিথি অমুক, অমুক সংগঠনের তমুক সেক্রেটারি ব্লা ব্লা ব্লা এবং আমার প্রানপ্রিয় এলাকাবাসী সবাইকে আমার প্রানঢালা অভিনন্দন। (আবার সেই একই গান গাইতে গাইতে টাইম শেষ।)
শুধু একজন দুইজন না যতজন বক্তৃতা দিতে আসবে সবাই ওই একই গান গেয়ে গেয়ে সময় নষ্ট করবে। আর শুধু এই কারনের জন্যই শ্রোতা খুঁজে পাওয়া যায় না যদি না তার শেষে বিশিষ্ট কোনো গায়ক পারফর্মেন্স করে।
কি দরকার কে কে উপস্থিত আছে তা মাইক্রোফোনের সামনে বার বার বলার। সেগুলো তো ব্যানারেই লেখা আছে। যার জানার দরকার সে ব্যানার থেকে জেনে নিবে। আর যে পড়তে জানে না তার জানারই দরকার নাই।
এই একই ধারা চলে আসছে আমাদের কভার লেটার লেখার মধ্যেও।
My dear প্রাণের প্রিয় sir/madam.
I am XYZ from BD. I am very interested in your job. I can do it perfectly. I have proper experience in computer. I can make “W” from “M” by flipping vertically. I can make “d” from “b” by flipping horizontally. I can everything and bla bla bla...........................
.......................................................................................................................................................................................................................................................
Your বিশ্বস্ত (কাজ করার আগেই ক্যামনে বিশ্বস্ত হইলো বুঝলাম না)
XYZ

কি পারি বা না পারি সেই কথা ক্লায়েন্টকে বলতে বলতে মূল জবে কি চেয়েছে বা মূল বিষয়বস্তু কি সেটাই ভুলে যাই। পরে ওই বক্তৃতার মত কিছু বুঝে ওঠার আগেই ইতি টানতে হয়।
এর জন্য শ্রোতা অর্থাৎ ক্লায়েন্টের রেসপন্স পাওয়া যায় না।
সভায় কে কে উপস্থিত আছে তা ব্যানারে উল্লেখ থাকে ঠিক তেমনি আপনি কি পারেন বা না পারেন তা আপনার প্রোফাইলেই শো করা আছে। আবারো সেই গান গাওয়ার কি দরকার? একই জিনিস ক্লায়েন্টকে বার বার খাওয়াচ্ছেন কেন?
প্রশ্ন: অনেক কথা ই তো বললেন। তাহলে কিভাবে কভার লেটার লিখবো সেটা বলেন?
বলছি।
বিগত দিনে অনেক গুণিজন অনেক গুণি কথা বলে গেছেন। কিন্তু তারা কখনোই পক পক করেননি। শুধু মাত্র একটি বাক্য বলেছেন যার মাধ্যমে অতীত বর্তমান ভবিষ্যত সবকিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন।
যেমন: “যস্মিন দেশে যদাচার”।
অথচ এই সামান্য বাক্যটিকে বিশদ ভাবে আলোচনা করা যায়। কিন্তু ওই বিশদ আলোচনা শোনার মত সময় কাহারো নাই। তাই শুধু একটি বাক্যই যথেষ্ট যা সবকিছু এক মুহুর্তে বুঝিয়ে দিবে।
ঠিক তেমন ভাবে কভার লেটারেও পাত্রক্ষেত্রে দুয়েকটি লাইনের মাধ্যমে আপনার এক্সপেরিয়েন্স, কার্জক্ষমতার, ক্লায়েন্ট কেন আপনাকে হায়ার করবে, কিভাবে সার্ভিস দিবেন তা বুঝিয়ে দিন আর পক পক করা বন্ধ করুন। কি মনে করেন এক পৃষ্ঠার রচনা ক্লাইন্ট পড়বে? আরে ভাই আমার নিজের পড়ারই তো সময় নাই, তাহলে একজন ক্লাইন্ট পড়বে কিভাবে? কারন ক্লায়েন্টও জানে “যত গর্জে, তত বর্ষে না”।
আবারো বলছি প্রবাদ বাক্যের মতই এককথায় আপনার সমস্তকিছু প্রকাশ করুন এবং একটি কথার মাধ্যমেই সবকিছুর অতীত বর্তমান ভবিষ্যত ক্লায়েন্টকে বুঝিয়ে দিন। যে লেখাটি দেখে ক্লায়েন্ট টাসকি খেয়ে পরে যাবে।
আর হ্যাঁ সেই বাক্যগুলো কিভাবে লিখবেন সেটা একান্তই আপনার নিজস্ব ব্যাপার। মাথায় না আসলে একান্তে ভাবুন। মাথা খাটিয়ে একটু গবেষণা করুন। 

1 comment:

Theme images by Storman. Powered by Blogger.